অপরের ঘরে আগুন লাগালে নিজের ঘর ও পোড়ে : শুভেন্দুর পদত‍্যাগ প্রসঙ্গে বললেন আব্দুল মান্নান

16th December 2020 8:26 pm হুগলী
অপরের ঘরে আগুন লাগালে নিজের ঘর ও পোড়ে : শুভেন্দুর পদত‍্যাগ প্রসঙ্গে বললেন আব্দুল মান্নান


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  অপরের ঘরে আগুন লাগালে নিজের ঘরও পোড়ে। আর সেই আগুনে নিজেকেও পুড়তে হয়।বুধবার শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর শেওড়াফুলি কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে বসে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন একসময় মমতা ব্যানার্জী বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে কংগ্রেসের ঘর ভেঙেছিল। এখন তার নিজের চোখের সামনে তার নিজের ঘর ভাঙছে।মমতা ব্যানার্জীর উদ্দেশ্যে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান আরো বলেন এখন তার দলের নেতা মন্ত্রীরা বিজেপিতে যাচ্ছে দেখে তার কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু তিনি নিজে একসময় কংগ্রেস ভেঙে বিজেপির সাথে জোট করে কেন্দ্রের মন্ত্রী হয়েছিলেন।তখন হয়তো তার বয়স কম ছিল তাই বুঝতে পারেনি। যে অন্যের ঘরে আগুন লাগলে নিজের ঘরেও একদিন আগুনে পোরে।তৃণমূল দলটা এখন শেষের পথে।তাই মমতার আর্তনাদ দেখে মানুষ খুশি হচ্ছে।এদিন মমতা ব্যানার্জীকে কটাক্ষ করার সাথে শুভেন্দু অধিকারীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন শুভেন্দুর যাত্রা শুভ হোক।তার পরিবারের সাথে কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের পরিচয়।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।